ঢাকা বাংলাদেশ , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬ Time View

রাজপদচ্যুত সাবেক প্রিন্স অ্যান্ড্রু একবার থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় বিলাসবহুল হোটেলে ৪০ জন যৌনকর্মীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যটি সামনে এনেছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসবিদ অ্যান্ড্রু লাউনি। এছাড়া ২০০০ সালের শুরুর দিকে তিনি করদাতার অর্থে ট্রেড এনভয় হিসেবে বিদেশ সফরের সুযোগ নিয়েছিলেন।

ডেইলি মেইলের ‘ডিপ ডাইভ: দ্য ফল অব দ্য হাউস অব ইয়র্ক’ পডকাস্টে ইতিহাসবিদ লাউনি বলেন, ‘২০০১ সালে অ্যান্ড্রুর বয়স ছিল ৪১ বছর। মধ্যবয়সী সংকটে তিনি তখন প্রচুর নারীর পেছনে ছুটতে শুরু করেন। তিনি করদাতার অর্থে অর্থায়িত ট্রেড এনভয় হিসেবে বিদেশ সফরের সুযোগ নিয়ে এসব সফরকে নিজের ছুটি হিসেবে ব্যবহার করতেন।’

লাউনি জানান, প্রতিটি সফরে অ্যান্ড্রু দুই সপ্তাহের ‘ব্যক্তিগত সময়’ রাখতেন। ফলে করদাতারা তার বিলাসবহুল ছুটির খরচ বহন করতেন।

তিনি আরও বলেন, ‘একবার থাইল্যান্ড সফরে রাজা’র জন্মদিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে তিনি যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে যান। কিন্তু দূতাবাসে না থেকে নিজের পছন্দমতো পাঁচ তারকা হোটেলে ওঠেন—যেমনটি তিনি সব সময়ই করতেন। চার দিনে ওই হোটেলে ৪০ জন যৌনকর্মী আনা হয়েছিল, যা কূটনীতিক ও অন্যদের সহায়তায় ঘটেছিল।’

ইতিহাসবিদের দাবি, এই তথ্যটি একাধিক সূত্র, এমনকি থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের এক সদস্যের মাধ্যমেও যাচাই করা হয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ইয়ান প্রাউড জানান, অ্যান্ড্রুর নারীসঙ্গের বিষয়টি তখন দূতাবাসের অভ্যন্তরে প্রায় সবাই জানতেন।

ইয়ান প্রাউড বলেন, ‘অ্যান্ড্রু ব্যক্তিগত সফরেও যেতেন। তিনি সবসময় দূতাবাসে না থেকে নিজস্ব জায়গা পছন্দ করতেন। ব্যাংককের একটি নির্দিষ্ট বিলাসবহুল হোটেলেই থাকতেন, কারণ সেখানে নিচতলায় তার পছন্দের নাইটক্লাব ছিল।’

এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে তাকে যুক্তরাজ্যের ‘অফিশিয়াল রোল অব দ্য পিয়ারেজ’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে দেশটির সব ডিউক ও অভিজাতদের আনুষ্ঠানিক তালিকা সংরক্ষিত থাকে। এটি তার রাজকীয় উপাধি ও মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহারের একটি বড় ধাপ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

Update Time : ০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

রাজপদচ্যুত সাবেক প্রিন্স অ্যান্ড্রু একবার থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় বিলাসবহুল হোটেলে ৪০ জন যৌনকর্মীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যটি সামনে এনেছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসবিদ অ্যান্ড্রু লাউনি। এছাড়া ২০০০ সালের শুরুর দিকে তিনি করদাতার অর্থে ট্রেড এনভয় হিসেবে বিদেশ সফরের সুযোগ নিয়েছিলেন।

ডেইলি মেইলের ‘ডিপ ডাইভ: দ্য ফল অব দ্য হাউস অব ইয়র্ক’ পডকাস্টে ইতিহাসবিদ লাউনি বলেন, ‘২০০১ সালে অ্যান্ড্রুর বয়স ছিল ৪১ বছর। মধ্যবয়সী সংকটে তিনি তখন প্রচুর নারীর পেছনে ছুটতে শুরু করেন। তিনি করদাতার অর্থে অর্থায়িত ট্রেড এনভয় হিসেবে বিদেশ সফরের সুযোগ নিয়ে এসব সফরকে নিজের ছুটি হিসেবে ব্যবহার করতেন।’

লাউনি জানান, প্রতিটি সফরে অ্যান্ড্রু দুই সপ্তাহের ‘ব্যক্তিগত সময়’ রাখতেন। ফলে করদাতারা তার বিলাসবহুল ছুটির খরচ বহন করতেন।

তিনি আরও বলেন, ‘একবার থাইল্যান্ড সফরে রাজা’র জন্মদিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে তিনি যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে যান। কিন্তু দূতাবাসে না থেকে নিজের পছন্দমতো পাঁচ তারকা হোটেলে ওঠেন—যেমনটি তিনি সব সময়ই করতেন। চার দিনে ওই হোটেলে ৪০ জন যৌনকর্মী আনা হয়েছিল, যা কূটনীতিক ও অন্যদের সহায়তায় ঘটেছিল।’

ইতিহাসবিদের দাবি, এই তথ্যটি একাধিক সূত্র, এমনকি থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের এক সদস্যের মাধ্যমেও যাচাই করা হয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ইয়ান প্রাউড জানান, অ্যান্ড্রুর নারীসঙ্গের বিষয়টি তখন দূতাবাসের অভ্যন্তরে প্রায় সবাই জানতেন।

ইয়ান প্রাউড বলেন, ‘অ্যান্ড্রু ব্যক্তিগত সফরেও যেতেন। তিনি সবসময় দূতাবাসে না থেকে নিজস্ব জায়গা পছন্দ করতেন। ব্যাংককের একটি নির্দিষ্ট বিলাসবহুল হোটেলেই থাকতেন, কারণ সেখানে নিচতলায় তার পছন্দের নাইটক্লাব ছিল।’

এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে তাকে যুক্তরাজ্যের ‘অফিশিয়াল রোল অব দ্য পিয়ারেজ’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে দেশটির সব ডিউক ও অভিজাতদের আনুষ্ঠানিক তালিকা সংরক্ষিত থাকে। এটি তার রাজকীয় উপাধি ও মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহারের একটি বড় ধাপ।